তখন-এখন

তখনঃ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ভোরে ওঠার অভ্যাস ছিল।
এখনঃ সকালই তো হয় ১১-১২টায়

তখনঃ সকালে উঠে বড় ভাইয়েরা ছোট ভাই-বোনদের উঠাত, উঠানে হাঁস-মুরগী ছেড়ে দিত, গরুগুলোকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে আসত…
এখনঃ বড় ভাইয়েদের নিজেদেরই কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই। ভাই-বোন, হাঁস-মুরগী, গর-ছাগলের খবর নেয়ার সময় কোথায়?

তখনঃ ছেলেদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল বাসায় না জানিয়ে সিনেমা হলে ৪আনা দিয়ে বাংলা সিনেমা দেখা। মা-বাবার কাছে এটা ছিল এখনকার পর্ণ দেখার মতই গর্হিত অপরাধ।
এখনঃ ক্লাস ৫-৬ এ পড়া একটা বাচ্চার কাছেও এখন কয়েকশ জিবি পর্ণের কালেকশান আছে হয়তো। আর সানি লিয়নকে দেখা তো স্বাভাবিক ব্যাপার।

তখনঃ ছেলেরা বিকালে মাঠে খেলত, মাঠ থেকে গরুগুলোকে বাসায় নিয়ে আসত।
এখনঃ Coaching, Facebook কিংবা FIFA বা FarmVille করতে করতেই দিন কেটে যায়

তখনঃ ছেলেরা পড়ালেখা আর স্বাবলম্বী হওয়ার দিকে বেশী মনোযোগী ছিল। ফ্যাশন বা সৌন্দর্যচর্চা ছিল শুধুই মেয়েদের অধিকারে।
এখনঃ মেয়েরা পড়ালেখা আর স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বেশী আগ্রহী। আর ছেলেরা ফ্যাশন, বডি ঠিক করা আর মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণেই বেশী উৎসাহী।

তখনঃ কোন ডাক্তার কিংবা OT ছাড়াই নরমাল ডেলিভারি হত।
এখনঃ এখন তো সিজারিয়ান ছাড়া বাচ্চা হয় কিনা সন্দেহ।

তখনঃ মিনিমাম সন্তান সংখ্যা ছিল একটা ফুটবল টিম।
এখনঃ “”দু’টি সন্তানের বেশী নয়। একটি হলে ভাল হয়।””

তখনঃ অনেক ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে প্রেমপত্র লিখে অনেক বুদ্ধি করে সেটি প্রেমিকার নিকট পৌছাতে হতো।
এখনঃ Net এ search করলেই লাখ লাখ creativity পাওয়া যায়। এরপর মোবাইলের Message অপশনে গিয়ে কপি-পেস্ট করে send…

“আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।” ― যাযাবর, দৃষ্টিপাত